এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম - Nid correction

আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

বর্তমানে দুইটি উপায়ে আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য আবেদন করা যায়। কিন্ত সংশোধনের আবেদন করলেই কি সংশোধন হয়? উত্তর হচ্ছে, যারা সঠিকভাবে নিয়ম মেনে সংশোধনের আবেদন করে তাদের আবেদন অনুমোদন হয়। কিন্ত যারা সঠিক কাগজপত্র না দিয়েই আবেদন করে তাদের আবেদন অনুমোদন হয় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে অফিসে ঘুরতে হয়। তাই আজকে আপনাদের মাঝে Nid কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে চলে আসলাম। 

আমার দেয়া পরামর্শ মেনে যদি এনআইডি সংশোধনের আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই খুব সহজে আপনাদের কার্ডের ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক-

{tocify} Stitle={Custom Title}

এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি - Nid Correction

Nid কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করা অত্যন্ত সহজ। বর্তমানে দুইটি উপায়ে Nid Correction এর জন্য আবেদন করা যায়। চলুন জেনে নেই কি সেই উপায় দুইটি।

অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন - Nid Correction Online

সব থেকে সহজ এবং জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে অনলাইনে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করা। কারণ ঘরে বসে নিজেই নিজের মোবাইল কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে আবেদন করা যায়। এতে অফিসে যাওয়া আসার জন্য সময় এবং শ্রম কোনটাই ব্যয় করা লাগে না।

অনলাইনে আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি তুলে কিংবা মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল তৈরী করে আপলোড করা যায়। নিজের বিকাশের মাধ্যমে Nid Fee পরিশোধ করা যায়।  Nid Correction Fee পরিশোধের পর Transaction Number একটি সাদা কাগজে লিখে তার ছবি তুলে Pay Slip এর স্থানে আপলোড করে দেয়া যায়। অথবা বিকাশের Pay Receipt ডাউনলোড করে আপলোড করা যায়।

আবেদন সাবমিট করা হলেই আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এ সকল কারণেই অনলাইনে Nid সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার উপায়টি জনগণের কাছে বেশ জনপ্রিয়। 

অফিসে গিয়ে এনআইডি সংশোধনের আবেদন

এনআইডি সংশোধনের দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনী ফরম ২ সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। বিকাশ কিংবা রকেট মাধ্যমে Nid Correction Fee জমা দিয়ে তার Pay Slip এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি আবেদনের সাথে পিন-আপ করে অফিসে জমা দিতে হবে। 

এক্ষেত্রে আবেদনের কার্যক্রম শুরু হতে কিছুটা সময় লেগে যায়। কারণ হেল্পডেস্ক এ আবেদন জমা দেয়ার পর সেটি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের টেবিলে যাবে, তিনি স্বাক্ষর করবেন তারপর সার্ভার রুমে অপারেটেরের নিকট পৌচ্ছাবে। এই প্রোসেস সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় তো লাগবেই। 

তাই যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং অফিসে যাওয়া আসার মন-মানসিকতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন আফিসে গিয়ে এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারেন।

এনআইডি সংশোধন করার নিয়ম - Nid Correction

Nid Correction এর আবেদন করার উপায় সম্পর্কে তো জানলেন এখন জানা জরুরী আবেদন করার সময় কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে। এনআইডি সংশোধন হয় শুধুমাত্র কাগজপত্রের উপর ভিত্তি করে। কাগজপত্র দিয়ে আইডি কার্ডে আপনার চাহিত তথ্য প্রমাণ করাতে পারলেই আবেদন অনুমোদন হয়ে যায়। 

তবে কোন তথ্য সংশোধনের জন্য কোন কাগজ লাগে সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আবেদন সাবমিট করতে হবে। 

আবেদন সাবমিট করতে তো বেশি সময় লাগে না। কিন্ত কাগজপত্রের কমতি থাকলে মাসের পর মাস আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় থাকে। তাই এনআইডি সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে সে বিষয়ে আগে জানার চেষ্টা করুন। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করার জন্য কিংবা জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং এসএসসি সনদ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। অপরদিকে স্বামী/স্ত্রীর নাম সংশোধন করার জন্য উক্ত কাগজপত্র কোন কাজে আসে না। 

তাই আবেদন করার আগে কি ভুল হয়েছে এবং সেই ভুলের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে ভালো করে জানতে হবে। তারপর আবেদন করতে হবে। 

আমাদের ওয়েবসাইটে  এনআইডি সংশোধন করতে কি কি লাগে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। Application করার আগে অবশ্যই পোষ্টটি পড়ে নেবেন। 

তাহলে জানাতে পারবেন কি কি কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। কারণ পোষ্টটিতে আইডি কার্ডের কোন তথ্য সংশোধনের জন্য কি কগজ লাগে সে বিষয়ে সুন্দর করে উল্লেখ করা হয়েছে।

Nid Correction Application করার পর

অনলাইনে কিংবা অফিসে গিয়ে Nid Correction Application করার পর সব কিছু ভুলে গিয়ে বসে থাকবেন না। অবশ্যই আপনার মোবাইলে আসা ম্যাসেজগুলোর দিকে নজর রাখবেন। আপনার আবেদনের উপর যে পদক্ষেপই নেয়া হোক না কেন সে বিষয়ে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। ম্যাসেজগুলো লক্ষ্য না করলে আবেদন নিষ্পত্তি হতে দেরি হতে পারে। 

কারণ কখনো কখনো আবেদন নিষ্পত্তিকরণের জন্য আরো কাগজপত্র চেয়ে ম্যাসেজ করে থাকে। আবার কখনো শুনানির জন্য অফিসে ডেকে থাকে। তাই ম্যাসেজগুলো লক্ষ্য করা জরুরী। আরো কাগজপত্র চাইলে অফিসে গিয়ে জমা দিয়ে আসবেন কিংবা শুনানীর জন্য ডাকলে অবশ্যই নির্ধারিত দিনে অফিসে গিয়ে অফিসারের সাথে যোগাযোগ করবেন।

পরিশেষে

পরিশেষে এটই বলবো যে, আইডি কার্ডে যে ভুলই হোক না কেন সেই ভুল সংশোধনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে ভালো করে জেনে তারপর আবেদন করবেন। কাগজপত্র গোছাতে বিরক্তি মনে করে কম কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করলে দ্রুত ফলাফল তো পাবেনই না বরং ভোগান্তি বাড়বে। 

এই ছিলো এনআইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য। এ বিষয়ে যদি কারো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। লেখাটি যদি ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ..!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন