এনআইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নাম সংশোধনের জন্য করণীয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ।
অনেকের এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নামে ভুল আছে। ভোটার আইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নাম সংশোধনের জন্য করণীয় কি এবং কি
কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি হতে পারে সে বিষয়ে
সঠিক ধারণা না থাকলে ভোগান্তি তো একটু হতেই পারে। কারণ অনেকেই এনআইডি কার্ড/ভোটা আইডি কার্ডে পিতা মাতার নাম সংশোধনের আবেদন জমা দিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষা করছে। আজ এই কাগজ চাইছে তো কাল ওই কাগজ চাইছে। ঘুরতে ঘুরতে বিরক্তি ধরে যাচ্চে। তারপর বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন অফিসে ভোগান্তির শেষ নেই! কি কি কারণে মাসের পর মাস অপেক্ষা করা লাগে চলুন জানি এবং সেই সাথে আরো জানি কি করলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
এমন হাজারো মানুষের এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে কিছু না কিছু তথ্য ভুল হয়ে আছে। প্রয়োজন পড়ছে না তাই হয়তো সেগুলো সংশোধনের কোন চিন্তা ভাবনাও করছেন না। একটা সময় দেখবেন কোন না কোন কাজ করতে গিয়ে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডের কপি না জমা দেয়া পর্যন্ত আপনার সেই কাজ হচ্ছে না। তখন আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য দৌড়া-দৌড়ি শুরু করে দেবেন। একটা কথা আছে যে, সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড় তাও কাজ হয় না। যখন আপনার নিতান্তই প্রয়োজন পড়বে তখন এমনও না হয় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। অথবা আবেদনের জটিলতার কারণে সময় বেশি লাগছে।
যদিও এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। তারপরও কখনো কখনো এই কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে, বিভিন্ন ধরণের নির্বাচন যেমন- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ইত্যাদি। কোন এলাকায় নির্বাচনের তফসীল একবার ঘোষণা হয়ে গেলে তখন ওই এলাকার অফিসগুলো তাদের সমস্ত কাজকে আপাতত স্থগিত রেখে শুধুমাত্র নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকে। হয়তো আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কিন্ত সেই আবেদনের কার্যক্রম যারা সম্পন্ন করবে তারাই নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকবে। তাহলে আপনার আবেদনটি কিভাবে দ্রুত অনুমোদন পাবে? যদি আপনি ঘোরা-ঘুরি করে ক্ষমতাবান নেতা ধরে সুপারিশ করিয়ে কোন না কোন উপায়ে আপনার কাজ করিয়েই নিলেন। তাতে কি পরিমান ঝামেলার মধ্য দিয়ে কাজগুলো করে আনতে হলো সেটা তখইন বুঝবেন।
সুতরাং, যদি আপনার এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে কোন প্রকার ভুল থেকে থাকে তাহলে অতি দ্রুত তা সংশোধন করে রেখে দেয়াই উত্তম কাজ হবে। আর তা যদি না করতে চান তাহলে পরবর্তীতে ভোগান্তির স্বীকার হলে অফিসকে দায়ী করবেন না। প্রতিটি অফিসের কার্যক্রম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী চলে, আপনার একার জন্য অফিস তাদের অতি জরুরী কাজ বন্ধ রেখে আপনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত নাও হতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ডে পিতা-মাতার নাম সংশোধেনর ক্ষেত্রে করণীয়ঃ-
একটি এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড একজন ব্যক্তির অনেকগুলো তথ্য বহন করে। যাদের এনআইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নামে ভুল আছে তারা নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।
পিতা মাতার নামে কি কি ধরণের ভুল হতে পারে? হতে পারে তাদের নামের আগে থাকা মোঃ/মোছাঃ নেই যোগ করবেন অথবা মোঃ/মোছাঃ দেয়া আছে বাদ দিতে হবে, তাদের নাম পদবী ভুল থাকতে পারে, নামের বানান ভুল হতে পারে। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় পিতা-মাতার নাম সম্পূর্ণই ভুল এসেছে। এছাড়া আরো অন্যান্য কিছু ব্যতিক্রমধর্মী ভুল থাকতে পারে যেমন পিতার নামের পদবী হয়েছে বেগম বা খাতুন, মাতার নামের আগে মোঃ দেয়া হয়েছে ইত্যাদি।
যে ধরণেরই ভুল হোক না কেন সেগুলো সংশোধন করার জন্য দুইটি উপায়ে আবেদন করা যেতে পারে।
প্রথমত উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম- ২ ফরম পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি হিসাব করে রকেট/বিকাশের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। তারপর ফি জমার রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সাথে পিন-আপ করে আবেদন দাখিল করা যাবে।
দ্বিতীয়ত, অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করা যায়। নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে services.nidw.gov.bd গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে গিয়ে ভুল তথ্যগুলো এডিট করে সঠিকভাবে লিখে সংশোধনের আবেদন দাখিল করা যায়। অনলাইন সিস্টেমে আবেদন করলে অফিসে ঘোরাঘুরির প্রয়োজন হয় না। বাড়িতে বসেই সব কিছু করা যায়। আপনি নিজের বিকাশ/রকেট থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি জমা দিতে পারবেন। যে কাগজপত্রগুলো সাথে জমা দিতে হবে সেগুলো মোবাইলে ছবি তুলে অথবা স্ক্যান করে পিডিএফ ফাইল তৈরী করে আপলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ডে পিতা-মাতার নাম সংশোধন করতে যেসব কাগজপত্র জমা দেয়া যেতে পারে;-
জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা ও মাতার নাম সংশোধনের জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো জমা দেয়া যেতে পারে।
১। এসএসসিস সনদ: আপনি যদি এসএসসি পাশ হন তাহলে আপনার এসএসসি সনদের কপি জমা দেবেন। আর এসএসসি পাশ না হলে বা কোন প্রকাশ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকলে দেয়া লাগবে না। তবে মনে রাখবেন আপনি কি পাশ কমিশনের সার্ভারে সেটা দেয়া আছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনটি অনুমোদন দেয়ার আগে অবশ্যই আপনার তথ্য যাচাই করে দেখে নেবেন। তাই কাগজপত্র গোপন করে লাভ নেই।
২। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ: জন্ম নিবন্ধন সনদ সবারই আছে। তবে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেবে না। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দেয়াই উচিত। হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ জমা দিলে আবেদন অনুমোদন না দিয়ে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ দাখিল করার জন্য আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে Additional Document Required করে দিতে পারে। তখন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ না দেয়া পর্যন্ত আবেদনের আর কোন অগ্রহতি হবে না।
৩। পিতা ও মাতার এনআইডি কপি: যেহেতু আপনার আবেদনের সংশোধনের বিষয় হচ্ছে পিতা ও মাতার নাম। সেহেতু পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করা বাধ্যতামূলক। আর যদি দাখিল না করেন তাহলে পিতা মাতার এনআইডি কপি চেয়ে আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে Additional Document Required করে দিতে পারে।
৪। সকল ভাই বোনের এনআইডি কার্ডের কপি: আবেদনের সাথে সকল ভাই বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দাখিল করে দেবেন। ভাই-বোনের ভোটার আইডি কার্ডে পিতা ও মাতার নাম কি দেয়া আছে এবং আপনি পিতা মাতার নাম কি চাচ্ছেন সেটি মিলিয়ে দেখা হবে। ভাই বোনের এনআইডি কার্ডে বিদ্যমান পিতা মাতার নামের সাথে আপনার চাহিত পিতা বা মাতার নাম যদি মিলে যায় তাহলে আপনার আবেদনটি দ্রুত অনুমোদন পেতে পারে।
যদি সাধারণ ভুল হয় তাহলে উপরিউল্লেখিত কাগজপত্র দিয়ে পিতা মাতার নাম সংশোধনের জন্য আবেদন দাখিল করলে আবেদনটি অনুমোদিত হওয়ার সম্ভবনা ৯৯% থাকবে।
যদি পিতা ও মাতার নাম সম্পূর্ণ পরিবর্তন চান তাহলেও উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো দিয়ে আবেদন জমা দেবেন। সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত হলফনামার কপি দাখিল করতে পারেন। এক্ষেত্রে যত বেশি কাগজপত্র দাখিল করতে পারেন ততই ভালো। বেশি কাগজপত্র অর্থাৎ যেসব কাগজপত্রে আপনার পিতা ও মাতার নাম সঠিক করে লেখা আছে সেই সব কাগজপত্র দাখিল করতে পারেন, যেমন- চেয়ারম্যান/পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদেয় উত্তরাধিকার/ওয়ারেশ সনদ, পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, জমির পর্চা, পিতার নামীয় বিদ্যুৎ বিল/পানি বিল/গ্যাস বিলের, ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি, চাকরিজীবি হলে সার্ভিস বইয়ের কপি, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর কপি ইত্যাদি।
এতকিছুর পরের উপজেলা নির্বাচন অফিসার আপনার চাহিত তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য সরেজমিন তদন্ত করতে পারে। তদন্তে প্রতিবেদন ও আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধন্ত নেয়া হবে। আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে বা বাতিল হলে বা আরো কোন কাগজপত্র চাওয়া হলে আবেদনের সময় দেয়া আপনার মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করাতে হলে আবেদনের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাপোর্টিং ডকুমেন্টস দিতে হবে। যেটা অনেকেই করে না বিধায় আবেদন নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লেগে যায়। তাছাড়া সুযোগ সুবিধা পাওয়ার আশায় অল্প কাগজপত্র দিয়ে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন দাখিল করলে তা অনুমোদন পায় না বরং বাতিল হয়। আবেদন করার আগে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যে, একমাত্র কাগজপত্র দিয়েই প্রমাণ করতে হবে যে, এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে যে তথ্য আছে সেটা ভুল এবং আপনি যে তথ্য চাইছেন সেটাই সঠিক।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন হলে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। ম্যাসেজ পাওয়ার ৩-৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড চলে আসে।
আশা করি ভোটার আইডি কার্ডে পিতা-মাতার নামের ভুল সংশোধনের বিষয়ে বিস্তারিত বোঝাতে পেরেছি। এরপরও যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের উপর দিতে অবশ্যই চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ.....!
আমার আইডি কার্ড আছে কিন্তু স্মার্ট কার্ড পাইনি 2013 সালে ভোটার হয়েছি । স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার সময় আমার সাথের সবাই পেয়েছে আমার কি যেন সমস্যা আছে পরে দিবে বলেছিল। এখনো পাইনি এখন আমি কি করতে পারি? কিভাবে পাবো।
উত্তরমুছুন২০১৩ সালের সকল ভোটারদের স্মার্ট কার্ড তৈরী হয়েছে এবং বিতরণও হয়েছে। যদি আপনি এখনো স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভোটার তথ্যের মধ্যে কিছু না কিছু অবশ্যই ভুল আছে অথবা অসম্পূর্ণ আছে তাই আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরী হয়নি। আপনার এনআইডি কার্ডের ভুল বা অস্পূর্ণ তথ্য সংশোধন না করা পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড আসবে না। পুরাতন ভোটার হওয়া সত্ত্বেও যারা স্মার্ট এনআইডি কার্ড পাননি তাদের জন্য করণীয় কি সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিষয় উল্লেখ করেছি প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন।
মুছুনআমার বাবামায়ের কাবিননামার কপিতে সঠিক নামটি নেই সেক্ষেত্রে সাপোর্রটিং ডকুমেন্টস হিসেবে কী কাবিননামার কপি দিবো?
উত্তরমুছুনযে কাগজপত্রে নাম সঠিক করে লেখা নেই সেগুলো জমা দেয়া যাবে না। যেগুলোতে সঠিক নাম লেখা আছে সেগুলো জমা দিতে হবে।
মুছুনআমার জন্ম সনদ ও আইডি কার্ড, দাখিল, আলিম, ফাজিল, স্নাতক সার্টিফিকেট এ পিতার নাম দেওয়া হয়েছে ইব্রাহিম খলিল কিন্তু পিতার আইডি কার্ডের নাম দেওয়া হয়েছে খলিল মিয়া এখন আমি কি করতে পারি ?
উত্তরমুছুনপিতার এনআইডি কার্ড সংশোধন করে আপনার কাগজপত্র অনুযায়ী করে নেয়ে সম্ভব হবে কি না সঠিক বলতে পাবরো না। কারণ আপনার কাগজপত্র ছাড়া পিতার নাম ইব্রাহিম খলিল লেখা আছে এমন পর্যাপ্ত পরিমান কাগজপত্র জমা দিতে ব্যার্থ হবেন। তারপরও আপনি চাইলে আপনার পিতার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করে দেখতে পারেন। সংশোধন হলে ভালো, আর সংশোধন না হলে আপনার যাবতীয় কাগজপত্র সংশোধন করে পিতার এনআইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী করে নিতে পারেন।
মুছুনআমার পিএসসি/জেএসসি/এসএসসি/এইচএসসি সাটিফিকেট এ বাবার নাম একবর দেয়া আছে ওই অনুযায়ী আমার NID কাডে ও বাবার নাম একবর এসছে কিন্তু আমার বাবার NIDকাডে আকবর দেয়া আছে। এখন আমি আমার বাবার নাম আমার NID কাডে চেন্জ করতে চাই আমার করনীয় কি দয়া করে যদি একটু বলতেন
উত্তরমুছুনআপনার এনআইডি কার্ড থেকে পিতার নাম পরিবর্তণ করতে হলে অবশ্যই সার্টিফিকেট শো করাতে হবে। কিন্ত আপনার সকল সার্টিফিকেটে পিতার নাম যা ব্যবহার করা হয়েছে সেটিই তো আপনার এনআইডি কার্ডে আছে। সুতরাং পিতার নাম পরিবর্তণ করে দেবে না। এদিকে পিতার এনআইডি কার্ড থেকে তার পুরো নাম পরিবর্তণের আবেদন করলেও তা অনুমোদন হবে না। কারণ চাহিত সংশোধিত তথ্যের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজপত্র জমা দিতে পারবে না। তবে আপনি যদি পিতার নাম অনুযায়ী আপনার সকল সার্টিফিকেটগুলো সংশোধন করে নেন তাহলে সকল সমস্যার সমাধান একবারে হয়ে যাবে।
মুছুনবিকাশ নাম্বার কোথাও দেওয়া নেই।
উত্তরমুছুনবিকাশ নম্বর কোথায় দেয়া থাকবে আর কেন দেয়া থাকবে?
মুছুনভাই আমি আমার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য ১৭-২-২২ ইং তকিখে আবেদন করি।এবং কাগজ পত্র দিয়ে থাকি..?
উত্তরমুছুন১,আইডি কার্ড
২,জন্ম নিবন্ধন
৩,বিয়ের সনদ
৪, ফেমিলি সনদ
৫, নাগরিকত্ব সনদ
৬,একটি ছবি
৭,মা বাবার আইডি কার্ড
৮, ভাই বোনের আইডি কার্ড
আমার মোবাইলে কোন এস এ মেস আসেনি
পিলিজ আপনাদের সহজোগিতা চাই..?
এনআইডি কার্ডে জন্ম তারিখের ভুল কত বছরের? জন্ম তারিখের ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। যদি আপনার দ্রুত সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোজ নিতে পারেন।
মুছুনআমার জমির দলিলে এক নাম ভোটার আইডি তে এক নাম এখন কি করবো সমাধান দিন স্যার
উত্তরমুছুনএনআইডি কার্ডের নাম পরিবর্তন করে যদি জমির দলিল অনুযায়ী করে নিতে চান তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করাতে হবে। এমনিতেই এনআইডি কার্ডের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করা খুবই কঠিন কাজ। সঠিক কাগজপত্র না থাকলে এনআইডি কার্ড সংশোধন হয় না। জমির দলিল সংশোধনযোগ্য কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে আপনি কোনটা সংশোধন করাতে চান। এনআইডি কার্ডের নাম সংশোধন করাতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত এবং সঠিক পরামর্শ দেয়া আছে প্রয়োজনে জেনে নিতে পারেন।
মুছুনআমার সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার মা বাবার নাম করতে চাচ্ছে আমার এনআইডিতে,,, কিন্তু ওনাদের এনআইডি কার্ডের সাথে আমার সার্টিফিকেট এর মিল নেই,,, এখন আমার সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার এনআইডি করতে হচ্ছে,,
উত্তরমুছুনআপনি আবেদন করে দেখতে পারেন। যদি উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করাতে পারেন তাহলে হয়তো সংশোধন হতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ এটাই যে, আপনার পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করে নেয়া সব থেকে ভালো হবে।
মুছুনআমার ভোটার আইডি কার্ড এ আমার পিতার নাম বাংলাতে তোতা মিয়া লেখা, কিন্ত আমার সার্টিফিকেট এ আমার পিতার নাম ইংরেজিতে Tota Mian লেখা, এক্ষেত্রে আমার ভোটার আইডি কার্ড এ পিতার নাম পরিবর্তন করে তোতা মিয়ান দেওয়ার প্রয়োজন আছে?
উত্তরমুছুনআমি কিছু মানুষের এনআইডি কার্ডে ইংরেজিতে মিয়া বানান Mian লেখা দেখেছি। তবে আপনার ক্ষেত্রে Mian লেখা থাকলে যদি সমস্যা মনে করেন তাহলে সংশোধন করে নিতে পারেন। আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ এটাই যে, যদি আপনি সংশোধন করাতে চান তাহলে আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করে পিতার নামের পদর্ব Mian থেকে Mia করে নেয়া ভালো। যদি আপনার এনআইডি কার্ড সংশোধন করে মিয়ন করে নেন তাহলে আপনার পিতার এনআইডি কার্ডের সাথে আপনার এনআইডি কার্ড মিলবে না। তখন অন্য রকম ঝামেলা তৈরী হতে পারে।
মুছুনআচ্ছা ভাই আমার সার্টিফিকেট এবং এন আই ডি তে আমার আব্বু আম্মুর নাম একই।
উত্তরমুছুনকিন্তু আমার আব্বুর এন এই ডি তে নাম টি একটু ভিন্ন। পাশাপাশি আমার আম্মুর এন আই ডি তে নাম হালিমা আক্তার হেনা আর পাসপোর্টে দেয়া হালিমা আক্তার। এমতাবস্থায় আমার কি করণীয়?
প্রচুর টেনশন হচ্ছে।
এখন আমার কি সার্টিফিকেট আর এন এই ডি চেঞ্জ করা লাগবে? না একই থাকলে হবে?
সব থেকে ভালো কাজ পিতা মাতার এনআইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী আপনার সার্টিফিকেট সংশোধন করে নেয়া। সার্টিফিকেট সংশোধন হয়ে গেলে তখন আপনার এনআইডি কার্ডও সংশোধন করে নিতে পারবেন। তাহলে ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যা থাকবে না। আর তা না করে যদি আপনার পিতা মাতার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করেন তাহলে ভোগান্তি হতেই পারে। অপরদিকে তাদের নামীয় জমি-জমার কাগজপত্রের সাথে আইডি কার্ডের নাম ভিন্ন হলে তাদের ঝামেলা হবে।
মুছুনআমার পিতা মাতার নাম ভুল আছে,,পিতার নামে মোঃ এবং মাতার নামের মোছাঃ বাদ দিলেই আমার সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি ১০০% ঠিক হয়ে যায়,,কিন্তু কথা হলো আমরা চার ভাই বোনদের ভেতর দুই ভাইয়ের একই সমস্য,,আর বোনদের নাই, তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। আবার আমার ভাইয়ের ভোটার আইডিতে মাতার নামটাই ভিন্ন,অন্য নাম। অন্য দিকে আমার পিতা মাতার আইডি আমার কাগজ পত্রের সাথে মিল রাখা খুবই জরুরি যা আমার রানিং সরকারি চাকরিতে প্রভাব ফেলবে,,এহ্মেত্রে আমার করনীয় কী?
উত্তরমুছুনখুব দ্রুত কি এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব? একটু বলবেন প্লিজ?
যদি পিতা মাতার Nid Card থেকে নামের মোঃ এবং মোছাঃ বাদ দিলে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যায় তাহলে তাদের আইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারেন। অপরদিকে যেহেতু ভাইয়ের এনআইডি কার্ডে মায়ের নাম টোটাল আলাদা রয়েছে সেহেতু মায়ের এনআইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী তার এনআইডি কার্ড সংশোধন করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি ভাইয়ের সার্টিফিকেট থাকে তাহলে আগে তার সার্টিফিকেট সংশোধন করে নিতে হবে। তারপর এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে হবে। দ্রুত সমাধান পেতে হলে আবেদন করার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
মুছুনআমার আয়ডি কার্ডে,, প্রশান্ত বিশ্বাস এবং জন্মতারিখ ১৯৯৫ আছে আর পাসপোর্ট করা আছে জন্মনিবন্ধন দিয়ে জন্মনিবন্ধন নাম :আপন বিশ্বাস আর বয়স ১৯৮৮ দেওয়া অনুজয়ে এখন পাসপোর্ট রিনু করতে পারছি না আয়ডি কার্ডে নাম আর বয়সের ভুলের জন্য,, নাম আর জন্মতারিখ ঠিক করতে হয়লে
উত্তরমুছুনএই ডুকমেন গুলো কি হবে না আরো কিছু লাগবে দয়া করে জানাবেন
১)নিজের জন্মনিবন্ধন
২)প্রত্যয়ন পত্র
৩)নাগরিক সনদ
৪)৮ শ্রেণী পাস সনদ
৫)মেয়ের জন্মনিবন্ধন
৬)পাসফুটের পটো কফি
আইডি কার্ডের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তণ করা এতটাই কঠিন ব্যাপার যে ভুগতে ভুগতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। যদি উপযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করাতে পারেন তাহলে নাম পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা অনেক সময় স্বাপেক্ষ ব্যাপার। এর পর রইলো জন্ম তারিখ পরিবর্তণ ৭ বছরের ব্যবধান। আপনার Nid Card এর এই দুই পরিবর্তণ হবে বলে আমার মনে হয় না। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান দেখেন কি হয়।
মুছুনআপনি যে ছয়টা কাগজের কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো পর্যান্ত নয়। এগুলোর সাথে আপনার বিবাহের কাগজ, স্ত্রীর আইডি কার্ডের কপি, আপনার সকল ভাই বোনের এনআইডি কার্ডের কপি, সকল ভাই বোনের এনআইডি কার্ডের নম্বর উল্লেখিত পিতার উত্তরাধিকার সনদ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত হলফনামা ইত্যাদি আবেদনের সাথে এড করা জরুরী। এত কাগজপত্র দেয়া সত্ত্বেও আপনার সমস্যার সমাধান হবে কি না সেটা বলা যায় না।
আমার বাবার জন্ম নিবন্ধন কার্ড এ জন্মতারিখ ভুল আছে এবং নাম এর পূর্বে মো: দেয়া আবার NID card এ পিতা মাতার নাম এ ভুল আছে। আবার ওনার ভাই দের কার্ড a 2 জনের পিতার নামের পূর্বে হাজী মো: দেয়া নেই।কিন্তু পিতার NID card ও 1 জন ভাই এর NID card এ হাজী মো: দেয়া আছে।এখন আমার বাবার নিদ কার্ড টা কিভাবে টিক করবো। আমার বাবার জন্ম নিবন্ধন কার্ড ছাড়া অন্য কোনো certificate বা প্রমাণ পত্র নেই যা দিয়ে আবেদন করবো।এখন আমাদের কি করা উচিৎ প্লীজ বলবেন।
উত্তরমুছুনপিতার জন্ম সনদে যদি ভুল থাকে তাহলে সেটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভায় যোগাযোগ করে সংশোধন করে নিন। অপরদিকে তার আইডি কার্ডে যদি পিতা মাতার নাম ভুল থাকে তাহলে আবেদনের সাথে জন্ম সনদ, পিতা-মাতার আইডি কার্ডের কপি/মৃত্যু সনদ, ভাইদের আইডি কার্ডের কপি (যাদের আইডি কার্ডে পিতা মাতার নাম সঠিক করে দেয়া), সকল ভাই বোনের আইডি কার্ডের নম্বর উল্লেখিত পিতার উত্তরাধিকার/ওয়ারেশ সনদ এবং চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলেরর প্রত্যয়পত্রসহ আবেদন করা যেতে পারে।
মুছুন