নতুন ভোটারদের Nid Card Download করার নিয়ম - সহজে Online Nid Card ডাউনলোড করুন
আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং এখনো Nid Card বা ভোটার আইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই Online Nid Card Download করতে পারবেন মোবাইল অথবা কম্পিউটার দিয়ে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নিজেই নিজের Nid Card ডাউনলোড করা যায় খুব সহজে এবং এর জন্য কোন ফি পরিশোধ করা লাগে না।
যদিও নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা Nid Card Download করার উপায় খুবই সহজ। তবুও অনেকেই Online Nid Card Download করার সঠিক উপায় জানেন না। ফলে তারা নানা ভাবে ভোগান্তিতে পড়েন। Nid card Download করতে খুব বেশি অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে নিজেই আপনার National Id Card Download করে নিতে পারবেন।
National Id Card Download করার নিয়ম
অনলাইন থেকে আপনার Nid Card সংগ্রহ করতে বা National Id Card Download করতে হলে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এবার আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে একটি ব্রাউজার (গুগল ক্রোম / ফায়ারফক্স) ওপেন করবেন এবং এড্রেস বারে লিখবেন services.nidw.gov.bd এবং এন্টার বাটন প্রেস করবেন। দেখবেন নিচের ছবির মতো একটি ওয়েবসাইট ওপেন হয়েছে।
অনলাইন থেকে Nid Card Download করতে হলে প্রথমে রেজিস্ট্রশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য রেজিস্টার করুন বাটনে ক্লিক করুন।
রেজিস্ট্রার করুন বাটনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটি ফরম আসবে। ফরমটি পূরণ করার সময় ১০/১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর অথবা ভোটার নিবন্ধন্ধন স্লিপে থাকা ফরম নম্বর লিখতে হবে। তার পরের ঘরে জন্ম তারিখ লিখতে হবে। তার পরের ঘরে ক্যাপচা লিখতে হবে এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে পেজটি লোড হয়ে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচনের পেজে নিয়ে যাবে। এখানে
আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা সিলেক্ট করতে হবে।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই না হয়ে যদি ভিন্ন হয় তাহলে তা সঠিকভাবে
সিলেক্ট করতে হবে। ভুল ঠিকানা দিলে একাউন্ট লক হয়ে যেতে পারে।
পরবর্তী বাটনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত পর্যায়ক্রমে মোবাইল নং ভেরিফিকেশন করার জন্য বলবে।
NID Wallet App টি Install হওয়ার পর ওপেন করবেন। আপনার ক্ষেত্রে উপরের ছবিতে যে QR Code টি দেখা যাবে সেটি স্ক্যান করবেন। তারপর নিচের ছবির মত ফেস ভেরিফাই করার জন্য বলবে।
Start Face Scan অপশনে ক্লিক করবেন। তারপর দেখবেন আপনার মোবাইলের ফন্ট ক্যামেরা ওপেন হবে। প্রথমে সোজাভাবে তাকাবেন Face Scan হলে মুখ বামে একবার ঘোরাবেন তারপর মুখ ডানে ঘোরাবেন। এভাবে তিন বার ফেস স্ক্যান করা লাগবে। ফেস স্ক্যান সঠিকভাবে হলে ২ নং নমুনা ছবির মত ফেস এর উপর টিক চিহ্ন দেখাবে। NID Wallet এর কাজ এ পর্যন্তই।
এর পর দেখবেন ব্রাউজার রিফ্রেস হয়ে নিচের ছবির মতো আপনার ছবি দেখা যাবে এবং পাসওয়ার্ড সেটআপ করার জন্য বলবে। আপনি চাইলে আপনার পছন্দমত একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টটি সিকিউর করতে পারেন অথবা এড়িয়ে যেতে পারেন। তবে পাওয়ার্ডটি সেট-আপ করলে অবশ্যই পাওয়ার্ডটি সংরক্ষণ করবেন।
পাসওয়ার্ড সেটআপ করার জন্য সেট পাসওয়ার্ড বাটনে ক্লিক করবেন। এখানে প্রথমে একটি ইউজারনেম দেয়ার জন্য বলবে, আপনি চাইলে এখানে আপনার ইউজার নেম দিতে পারেন না দিতে চাইলে ক্ষতি নেই। তারপর একটি পাসওয়ার্ড টাইপ করে পরের ঘরে সেটি পুনারয় লিখবেন। তারপর আপডেট বাটনে ক্লিক করবেন।
তাহলেই তৈরী হয়ে যাবে আপনার এনআইডি কার্ডের একাউন্ট এবং নিচের ছবির মত আপনার সামনে দেখা যাবে। এখন মাত্র এক ক্লিকেই আপনার National Id Card Download করতে পারবেন। (পরবর্তীতের একাউন্টে লগইন করার জন্য অবশ্যই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করবেন)।
এখান থেকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলে আপনার Nid Card Download / ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হবে। যা দেখতে নিচের ছবির মত দেখাবে।
Online Nid Card টি পিডিএফ ফাইল ফরমেটে থাকবে। এই পিডিএফ ফাইলটি নিকটস্থ কোন দোকান/প্রতিষ্ঠান থেকে কালার (রঙ্গিন) প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। আপনি নতুন ভোটার বিধায় আপনার জন্য ফ্রি তে নির্বাচন কমিশন এই Online Nid Card টি দিবে। আপনি বার বার এই এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে বার বার ডাউনলোড নাও হতে পারে। তাই পিডিএফ ফাইলটা সংরক্ষণ করুন। দ্বিতীয়বার ডাউনলোড করতে হলে ভোটার আইডি কার্ড উত্তোলনের ফি জমা দিয়ে ডাউনলোড করতে হতে পারে।
যারা পুরাতন ভোটার তারাও এই একই পদ্ধিতে মূল জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন তাবে বিকাশ/রকেট অ্যাপ এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। তারপর রিইস্যু অপশনে গিয়ে আবেদন দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি অনুমোদন করলেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
যারা পুরাতন ভোটার তারাও এই একই পদ্ধিতে মূল জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন তাবে বিকাশ/রকেট অ্যাপ এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। তারপর রিইস্যু অপশনে গিয়ে আবেদন দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার আবেদনটি অনুমোদন করলেই অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
নতুন ভোটারদের Online Nid Card Download বা ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করে জানাবেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ...।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পেজে নিয়ে যাচ্ছে না —এই সমস্যা হচ্ছে।
উত্তরমুছুনহয়তো সার্ভারে সমস্যা আছে সেই জন্য এমন হচ্ছে। পরবর্তীতে আবার চেষ্টা করবেন হবে।
মুছুনবয়স ২১। অনলাইন জন্মনিবন্ধন আছে। কিন্তু এখনো ভোটার আইডির জন্য আবেদন করা হয়নি। কিভাবে আবেদন করব জানাবেন।
উত্তরমুছুননতুন ভোটার হতে জন্ম নিবন্ধন সনদসহ আরো বেশ কিছু কাগজপত্র লাগে। অনরাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অফিসে জমা দিলে নতুন ভোটার হওয়া যাবে। অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুননতুন ভোটার হওয়ার পর ছবি,ফিঙ্গার, আই ইত্যাদি নেওয়া হয়েছে। এখন কিভাবে। NID নাম্বার পেতে পারি,জানালে উপকৃত হতাম।
উত্তরমুছুনবর্তমানে নতুন ভোটার হওয়ার পরে এনআইডি নম্বর মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। যদি মোবাইলে ম্যাসেজ না পেয়ে থাকেন তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা অনলাইন থেকে নতুন ভোটারদের এনআইডি নম্বর পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে প্রয়োজনে দেখে নিতে পারেন।
মুছুনnid te amar ammur face mile na tai password set korte pari na
উত্তরমুছুনKoroniyo ki?
আপনার আম্মু যখন ভোটার হয়েছিলেন তখন তার চেহারা যেমন ছিলো বর্তমানে হয়তো অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। তাছাড়া তখনকার ছবিগুলো খুব বেশি ভালো হতো না। তাই ফেস না মেলাটা স্বাভাবিক। এখন আপনি দুটো কাজ করতে পারেন। প্রথমত, কোন প্রকার আবেদন করতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। দ্বিতীয়ত,আবেদন করে আপনার আম্মুর এনআইডি কার্ডের ছবি পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
মুছুননতুন আবেদন করার কত দিন পর এনআইডি ডাউনলোড করা যাবে?
উত্তরমুছুননতুন ভোটারদের তথ্য মেইন সার্ভারে আপলোড করা হলে এবং অনুমোদন দেয়ার পর মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নম্বর প্রেরণ করা হয়। এনআইডি নম্বর পাওয়ার পরপরই অনলাইন থেকে Nid Card Download করা যায়। অর্থাৎ Nid নম্বর পেলেই এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
মুছুন